১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
Shahed-136 — সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ

Shahed-136 কামিকাজি ড্রোন: ইরানের প্রাণঘাতী UAV-এর সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ | ক্ষমতা, রেঞ্জ ও প্রতিরক্ষা কৌশল

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • 40

ভূমিকা

গত কয়েক বছরে অ-মানুষিক যুদ্ধপ্রযুক্তির মধ্যে “কামিকাজি” ধরনের ইউএভি বা আত্মঘাতী ড্রোনগুলোর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ইরান-উত্পাদিত Shahed‑136 তার মধ্যে অন্যতম সন্দেহভাজন — কম খরচে উৎপাদনযোগ্য, সহজ রূপনে নির্মিত এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে নিজেই বিস্ফোরিত করার ক্ষমতা রাখে। এই আর্টিকেলে আমরা Shahed‑136‑এর ডিজাইন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, ব্যবহার কৌশল, সীমাবদ্ধতা এবং এর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে বিশ্লেষণ দেব।

Shahed‑136 কী: দ্রুত পরিচিতি

Shahed‑136 হচ্ছে এক ধরনের লো-ফ্লাইট/লোইটারিং (loitering) মিউনিশন বা “কামিকাজি” ইউএভি। এটি লঞ্চের পর একটি প্রিসেট রুট বা গাইডেন্স সিস্টেম অনুসরণ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে চলে যায় এবং আঘাত করে নিজেই বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস করে দেয়। সাধারণত এই ধরণের ড্রোনকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প বলে মনে করা হয় না — বরং সস্তা, সংখ্যায় প্রবল হামলা চালাতে সক্ষম এমন অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।

প্রযুক্তিগত স্পেসিফিকেশন (সংক্ষেপে)

> নোট: বিভিন্ন উৎসে পরিমাপ ভিন্ন দেখানো হয়েছে। নিচের সংখ্যাগুলো সাধারণত রিপোর্ট করা আনুমানিক মানসমূহ।

 

দৈর্ঘ্য: ≈ 3.5 মিটার

উইংস্প্যান: ≈ 2.5 মিটার

সমগ্র ওজন (আনুমানিক): ≈ 200 কেজি

ওয়ারহেড (বিস্ফোরক): ≈ 50 কেজি (প্রসারিত হতে পারে)

রেঞ্জ/অপারেটিং রেঞ্জ: বিভিন্ন রিপোর্টে 600–2,500 কিমি (আনুমানিক এবং বিতর্কিত)

গতিবেগ: ≈ 100–185 কিমি/ঘণ্টা পরিসর

গাইডেন্স: GNSS (GPS/GLONASS) + ইনর্ষিয়াল সিস্টেম; কিছু সংস্করণে আরও সহজ ইলেকট্রনিক্স

ব্যবহার: একবারি আঘাত (বুম-ইন), অবকাঠামো বা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস

কীভাবে কার্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ?

কার্যকর হওয়ার কারণ

1. কম খরচে উৎপাদন: তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় একাধিক রেখে আক্রমণ চালানো যায় — প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর চাপ বাড়ে।

2. একচেটিয়া লক্ষ্যবস্তুতে হিট ডেলিভারি: ওয়ারহেড সরাসরি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে; ছোট বা নির্দিষ্ট কাঠামোতে অত্যন্ত দক্ষ।

3. লোইটারিং ক্ষমতা: লক্ষ্যবস্তু পাওয়া যায় না পর্যন্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে পারে, ফলে সঠিক সময়ে আঘাত নিশ্চিত হতে পারে (আংশিকভাবে সূত্র বিলম্বিত)।

 

সীমাবদ্ধতা ও দুর্বল দিক

1. সীমিত ওয়ারহেড: বড় লক্ষ্যসংস্থানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধ্বংসের জন্য ওয়ারহেড যথেষ্ট নয়।

2. নেভিগেশন সংবেদনশীলতা: GNSS জ্যামিং বা সিগন্যাল বিঘ্নিত হলে গাইডেন্স বিঘ্নিত হতে পারে।

3. রাডার ও এয়ার ডিফেন্স সংক্রান্ত সীমা: উন্নত রাডার ও শিকারী বায়ু প্রতিরক্ষা (SAM, CIWS, এয়ার ইন্টারসেপ্টর) থাকলে প্রতিরোধ করা যায়।

4. একবার ব্যবহারযোগ্য প্রকৃতি: আত্মঘাতী হওয়ার কারণে পুনরায় ব্যবহার কিংবা ফিরিয়ে আনা যায় না।

বাস্তব ব্যবহার: কেমন ক্ষতি করে এবং কোথায় দেখা গেছে

শৌধা‑136 ধাঁচের ড্রোনগুলোকে বিভিন্ন সংঘর্ষে ব্যবহার করা হয়েছে—প্রাথমিক নজিরগুলো ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে পাওয়া যায়, পরে রাশিয়া‑ইউক্রেন সংঘাতে এই ধাঁচের ড্রোন ব্যবহারের রিপোর্ট এসেছে। সাধারণত এরা বিদ্যুৎ অবকাঠামো, গুদাম, যোগাযোগ কেবেল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্রাকচার ইত্যাদি লক্ষ্য করে আঘাত করে থাকে, ফলে সামগ্রিক লজিস্টিক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যক্রমে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

Shahed‑ধাঁচের ড্রোনের বিরুদ্ধে কী করা যায় — প্রতিরক্ষার কৌশল

1. জ্যামিং ও ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার: GNSS সিগন্যাল ব্লক বা জ্যাম করলে ড্রোন নেভিগেট করতে পারে না; তবে আধুনিক ড্রোনগুলো ইনর্শিয়াল সিস্টেমে কিছুটা স্বাধীনতা রাখে।

2. রাডার ও ভিজ্যুয়াল সনাক্তকরণ বাড়ানো: ক্ষুদ্র এবং কম-উচ্চতায় উড়ন্ত ড্রোন শনাক্তের জন্য উচ্চ-রেজোলিউশন রাডার ও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর দরকার।

3. কুখ্যাত CIWS/ইন্টারসেপ্ট সিস্টেম: মিসাইল বা লেজার-ভিত্তিক কিলিং সিস্টেম ব্যবহার করে লক্ষ্য করে ধ্বংস করা।

4. নেটওয়ার্কেড ডিফেন্স ও মাল্টি-লেয়ার কভারেজ: একবারে একাধিক স্তরের প্রতিরক্ষা (রাডার → ইলেক্ট্রনিক → লঞ্চার/ইন্টারসেপ্ট) রাখতে হবে।

5. ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেডান্ডেন্সি: বিদ্যুৎ বা যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাক-আপ লাইন ও রেডান্ডেন্ট সিস্টেম জোরদার করা।

6. অপারেশনাল কৌশল পরিবর্তন: গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো অস্থায়ীভাবে সরিয়ে রাখা, ক্যামোফ্লাজ, এবং রিয়াল‑টাইম রিস্ক‑সহজ কৌশল প্রয়োগ করা।

নীতি ও নৈতিক বিবেচনা

কামিকাজি ড্রোন ব্যবহারের প্রতিরোধে শুধু প্রযুক্তি নয়, নীতিগত ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণও জরুরি। অসংলগ্ন ব্যবহার সিভিল ক্ষতি বাড়ায় এবং মানবিক ট্র্যাজেডির কারণ হতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ড্রোন অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সিভিল অবকাঠামো সুরক্ষার উপর মানদণ্ড জরুরি।

উপসংহার

Shahed‑136 প্রকারের কামিকাজি ড্রোন হলো কম খরচে উৎপাদিত, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সংখ্যায় আক্রমণে কার্যকর একটি অস্ত্র। তবে এর সীমাবদ্ধতা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার কারণে এটি সর্বদা নিখুঁত নয়। আধুনিক প্রতিরক্ষা কৌশল, জ্যামিং, উন্নত সনাক্তকরণ ও মাল্টি-লেয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এর প্রভাব অনেকাংশে হ্রাস করা যায়।

সব নবীর রাজনৈতিক অবস্থান ও রাষ্ট্র পরিচালনা – ইসলামিক ইতিহাসের পূর্ণ বিশ্লেষণ

Shahed-136 — সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ

Shahed-136 কামিকাজি ড্রোন: ইরানের প্রাণঘাতী UAV-এর সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ | ক্ষমতা, রেঞ্জ ও প্রতিরক্ষা কৌশল

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ভূমিকা

গত কয়েক বছরে অ-মানুষিক যুদ্ধপ্রযুক্তির মধ্যে “কামিকাজি” ধরনের ইউএভি বা আত্মঘাতী ড্রোনগুলোর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ইরান-উত্পাদিত Shahed‑136 তার মধ্যে অন্যতম সন্দেহভাজন — কম খরচে উৎপাদনযোগ্য, সহজ রূপনে নির্মিত এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে নিজেই বিস্ফোরিত করার ক্ষমতা রাখে। এই আর্টিকেলে আমরা Shahed‑136‑এর ডিজাইন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, ব্যবহার কৌশল, সীমাবদ্ধতা এবং এর বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে বিশ্লেষণ দেব।

Shahed‑136 কী: দ্রুত পরিচিতি

Shahed‑136 হচ্ছে এক ধরনের লো-ফ্লাইট/লোইটারিং (loitering) মিউনিশন বা “কামিকাজি” ইউএভি। এটি লঞ্চের পর একটি প্রিসেট রুট বা গাইডেন্স সিস্টেম অনুসরণ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে চলে যায় এবং আঘাত করে নিজেই বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস করে দেয়। সাধারণত এই ধরণের ড্রোনকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প বলে মনে করা হয় না — বরং সস্তা, সংখ্যায় প্রবল হামলা চালাতে সক্ষম এমন অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।

প্রযুক্তিগত স্পেসিফিকেশন (সংক্ষেপে)

> নোট: বিভিন্ন উৎসে পরিমাপ ভিন্ন দেখানো হয়েছে। নিচের সংখ্যাগুলো সাধারণত রিপোর্ট করা আনুমানিক মানসমূহ।

 

দৈর্ঘ্য: ≈ 3.5 মিটার

উইংস্প্যান: ≈ 2.5 মিটার

সমগ্র ওজন (আনুমানিক): ≈ 200 কেজি

ওয়ারহেড (বিস্ফোরক): ≈ 50 কেজি (প্রসারিত হতে পারে)

রেঞ্জ/অপারেটিং রেঞ্জ: বিভিন্ন রিপোর্টে 600–2,500 কিমি (আনুমানিক এবং বিতর্কিত)

গতিবেগ: ≈ 100–185 কিমি/ঘণ্টা পরিসর

গাইডেন্স: GNSS (GPS/GLONASS) + ইনর্ষিয়াল সিস্টেম; কিছু সংস্করণে আরও সহজ ইলেকট্রনিক্স

ব্যবহার: একবারি আঘাত (বুম-ইন), অবকাঠামো বা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস

কীভাবে কার্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ?

কার্যকর হওয়ার কারণ

1. কম খরচে উৎপাদন: তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় একাধিক রেখে আক্রমণ চালানো যায় — প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর চাপ বাড়ে।

2. একচেটিয়া লক্ষ্যবস্তুতে হিট ডেলিভারি: ওয়ারহেড সরাসরি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে; ছোট বা নির্দিষ্ট কাঠামোতে অত্যন্ত দক্ষ।

3. লোইটারিং ক্ষমতা: লক্ষ্যবস্তু পাওয়া যায় না পর্যন্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে পারে, ফলে সঠিক সময়ে আঘাত নিশ্চিত হতে পারে (আংশিকভাবে সূত্র বিলম্বিত)।

 

সীমাবদ্ধতা ও দুর্বল দিক

1. সীমিত ওয়ারহেড: বড় লক্ষ্যসংস্থানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধ্বংসের জন্য ওয়ারহেড যথেষ্ট নয়।

2. নেভিগেশন সংবেদনশীলতা: GNSS জ্যামিং বা সিগন্যাল বিঘ্নিত হলে গাইডেন্স বিঘ্নিত হতে পারে।

3. রাডার ও এয়ার ডিফেন্স সংক্রান্ত সীমা: উন্নত রাডার ও শিকারী বায়ু প্রতিরক্ষা (SAM, CIWS, এয়ার ইন্টারসেপ্টর) থাকলে প্রতিরোধ করা যায়।

4. একবার ব্যবহারযোগ্য প্রকৃতি: আত্মঘাতী হওয়ার কারণে পুনরায় ব্যবহার কিংবা ফিরিয়ে আনা যায় না।

বাস্তব ব্যবহার: কেমন ক্ষতি করে এবং কোথায় দেখা গেছে

শৌধা‑136 ধাঁচের ড্রোনগুলোকে বিভিন্ন সংঘর্ষে ব্যবহার করা হয়েছে—প্রাথমিক নজিরগুলো ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যে পাওয়া যায়, পরে রাশিয়া‑ইউক্রেন সংঘাতে এই ধাঁচের ড্রোন ব্যবহারের রিপোর্ট এসেছে। সাধারণত এরা বিদ্যুৎ অবকাঠামো, গুদাম, যোগাযোগ কেবেল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্রাকচার ইত্যাদি লক্ষ্য করে আঘাত করে থাকে, ফলে সামগ্রিক লজিস্টিক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যক্রমে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

Shahed‑ধাঁচের ড্রোনের বিরুদ্ধে কী করা যায় — প্রতিরক্ষার কৌশল

1. জ্যামিং ও ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার: GNSS সিগন্যাল ব্লক বা জ্যাম করলে ড্রোন নেভিগেট করতে পারে না; তবে আধুনিক ড্রোনগুলো ইনর্শিয়াল সিস্টেমে কিছুটা স্বাধীনতা রাখে।

2. রাডার ও ভিজ্যুয়াল সনাক্তকরণ বাড়ানো: ক্ষুদ্র এবং কম-উচ্চতায় উড়ন্ত ড্রোন শনাক্তের জন্য উচ্চ-রেজোলিউশন রাডার ও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর দরকার।

3. কুখ্যাত CIWS/ইন্টারসেপ্ট সিস্টেম: মিসাইল বা লেজার-ভিত্তিক কিলিং সিস্টেম ব্যবহার করে লক্ষ্য করে ধ্বংস করা।

4. নেটওয়ার্কেড ডিফেন্স ও মাল্টি-লেয়ার কভারেজ: একবারে একাধিক স্তরের প্রতিরক্ষা (রাডার → ইলেক্ট্রনিক → লঞ্চার/ইন্টারসেপ্ট) রাখতে হবে।

5. ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেডান্ডেন্সি: বিদ্যুৎ বা যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাক-আপ লাইন ও রেডান্ডেন্ট সিস্টেম জোরদার করা।

6. অপারেশনাল কৌশল পরিবর্তন: গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো অস্থায়ীভাবে সরিয়ে রাখা, ক্যামোফ্লাজ, এবং রিয়াল‑টাইম রিস্ক‑সহজ কৌশল প্রয়োগ করা।

নীতি ও নৈতিক বিবেচনা

কামিকাজি ড্রোন ব্যবহারের প্রতিরোধে শুধু প্রযুক্তি নয়, নীতিগত ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণও জরুরি। অসংলগ্ন ব্যবহার সিভিল ক্ষতি বাড়ায় এবং মানবিক ট্র্যাজেডির কারণ হতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ড্রোন অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সিভিল অবকাঠামো সুরক্ষার উপর মানদণ্ড জরুরি।

উপসংহার

Shahed‑136 প্রকারের কামিকাজি ড্রোন হলো কম খরচে উৎপাদিত, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সংখ্যায় আক্রমণে কার্যকর একটি অস্ত্র। তবে এর সীমাবদ্ধতা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার কারণে এটি সর্বদা নিখুঁত নয়। আধুনিক প্রতিরক্ষা কৌশল, জ্যামিং, উন্নত সনাক্তকরণ ও মাল্টি-লেয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এর প্রভাব অনেকাংশে হ্রাস করা যায়।