২০২৫ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০১ ছাড়িয়েছে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪,১৮৩ জনে। শুধু জুলাই মাসেই ৪১ জনের মৃত্যু ঘটে, আর আগস্টের প্রথম ১০ দিনে নতুন করে আরও ১৯ জন মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সেপ্টেম্বরের দিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে, এবং অনেক রোগীকে করিডরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে—যেমন মশাবাহী স্প্রে কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সামাজিক দায়িত্বশীলতা ছাড়া এই সংকট মোকাবিলা কঠিন।
প্রতিরোধের উপায়:
বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা
ফুলের টব, ড্রাম, কুলার ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা
জানালায় মশারি বা নেট ব্যবহার করা
গায়ে মশা নিরোধক লোশন ব্যবহার করা
জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই যদি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে এই বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।